সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার: দুই বছরেই নিয়োগ করা যায়নি কনসালটেন্ট। এতে করে আটকে আছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের দুটি বৃহৎ রেললাইন প্রকল্প। এর মধ্যে একটি হলো যশোর-বেনাপোল ডাবল লাইন রেল প্রকল্প ও পার্বতিপুর থেকে কাউনিয়া ডুয়েলগেজ রেলওয়ে প্রকল্প। দুটি রেললাইন নির্মাণ হবে বাংলাদেশ ভারত যৌথ অর্থায়নে। আর প্রকল্প দুটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে যশোর-বেনাপোল প্রকল্পেই ব্যয় হবে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। অন্যটিতে ব্যয় হবে এ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র মতে, যশোর-বেনাপোল ডাবল লাইন রেল প্রকল্প ও পার্বতিপুর থেকে কাওনিয়া ডুয়েলগেজ রেল প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের রেল যোগাযোগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। কিন্তু গত দুই বছরেও নানা জটিলতায় কনসালটেন্ট নিয়োগ সম্পন্ন করা যায়নি। কনসালটেন্ট নিয়োগে নানা জটিলতা তৈরী হওয়ায় এখনো এ কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি। এ নিয়ে সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত ও রেলওয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দুই দেশের রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের পরে কিছুটা গতি এসেছে কনাসালটেন্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। ফলে বাংলাদেশ সরকার নিজ অর্থায়নে নাকি যৌথ অর্থায়নে কনসালটেন্ট নিয়োগ হবে এটি অবশ্য এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সূত্র মতে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরে দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যশোর-বেনাপোল ডাবল লাইন রেললাইন চালু করা হলে ভারতের সঙ্গে রেলযোগাযোগ উন্নয়নে একটি মাইলফলক রচিত হবে। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী মাসউদুর রহমান বলেন, ‘কনসালটেন্ট নিয়োগ সম্পন্ন হলেই গতি আসবে এ কাজের। এর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটি শেষ করতে পারবো। কনসাল্টটেন্ট প্রক্রিয়াটি অনেকটা জটিল। এই জটিলতা কতটা সহজে এড়ানো যায়, সেসব নিয়ে দিল্লির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, দুটি প্রকল্পই বৃহৎ। কাজ দুটি সম্পন্ন হলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে একটি মাইলফলকে পৌঁছাতে পারবে।প্রকল্প পরিচালক মাসউদুর রহমান জানান, দুটি প্রকল্প বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অর্থায়নে হচ্ছে। যার ফলে ভারত কনসালটেন্ট নিয়োগে দুই দেশরই মতামত থাকছে। তবে কাদের অর্থায়নে কনসালটেন্ট নিয়োগ হবে সেটি এখন জরুরী। আমরা সেটি নিয়েই কাজ করছি। আশরা করছি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্র মতে, এই অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়ের একটি বড় কারণ হলো রেললাইনের সঙ্কট। প্রতিটি লাইনেই অতিরিক্ত ট্রেনের চাপ থাকায় গত কয়েক বছর ধরে ব্রাপক হারে সিডিউল বিপর্যয় বেড়েছে। এই সিডিউল বিপর্যয় রোধে একমাত্র প্রধান উপায় হলো এখন ডাবল লাইন রেলযোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দুটি প্রকল্প আপাতত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে সিডিউল বিপর্যয় রোধসহ রেলযোগাযোগে আরো গতি আনতে আরো বৃহদাকারে ডাবল লাইন রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন জরুরী হয়ে পড়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।