১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

বোতলে ফেন্সিডিল যতক্ষন,সাংবাদিক আলিফ হোসেন পক্ষ টেনে সংবাদ লিখে ততক্ষন

সারোয়ার হোসেন ঃ

সাংবাদিকতার নামে অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে বহুমাত্রিক ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কথিত সাংবাদিক ও ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী আলিফ হোসেনের বিরুদ্ধে। কয়েকটি বেনামি অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকাকে বহুমাত্রিক অন্যায়ের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকা ঘুরে জানা যায়,সাংবাদিকতার নামে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি,আর এই চাঁদার টাকায় স্বচ্ছলতায় ফিরে এসেছে কথিত সাংবাদিক ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী আলিফের সংসার। থেমে নেই নেশা করার পন্থা। কখনো ফেন্সিডিল,কখনো ইয়াবা,কখনো গাজা, কখনো আদিবাসীদের চোলাই মদ। আর এসব মাদক সেবনের টাকা আয় করে অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন,বিভিন্ন প্রকার ভয়ভিতীর মাধ্যমে সাধারণ জনগন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অনৈতিক উপায়ে চাঁদা গ্রহণ করে আলিফ। চাঁদা না দিলে চলে ধারাবাহিক ভাবে ফেইসবুক সহ অনলাইন পত্রিকাগুলোতে ভূয়া সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া। চাঁদা দিলে সারাদিন গুনগান না দুন্নাম। কথিত সাংবাদিক আলিফের ফেইসবুক ওয়াল ঘেটে দেখা যায়,একাধিক নেতাকর্মীর নামে প্রকাশিত সংবাদ রয়েছে তার ওয়ালে। কখনো নামে কখনো বেনামে। যখনই কারো নিকট থেকে সুবিধা বঞ্চিত হয় তখনই চলে বেনামি মানহানীকর লিখা। আর যখনই সুবিধা পেয়ে ফেন্সিডিলের বোতলের যোগান হয় তখনই শুরু হয় নামে এবং পক্ষে লিখা। এরই পেক্ষাপটে কিছুদিন আগেও তানোর থানার সামনে জনগনের হাতে গনধোলাইয়ের স্বীকার হন কথিত সাংবাদিক আলিফ হোসেন। তাছাড়াও মাস খানিক আগে নাচোলে ২০পিচ ফেন্সিডিল নিয়ে গ্রেফতার হন আলিফ। স্থানীয় ব্যাবসায়ী,নেতাকর্মী,সুসিল সমাজ অভিযোগ করেছেন,কথিক সাংবাদিক আলিফের অত্যাচারে তানোরবাসী অতিষ্ঠ। তার অপসাংবাদিকতার অপশক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকটও জোরালো দাবী তোলেন তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক আলিফ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,তোমার কাছে সাংবাদিকতা শিখতে হবে না। তাছাড়া সংবাদ প্রকাশেও ভয়ভিতী দেখিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে তানোর প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সাইদ সাজুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান,সাংবাদিকদের বেতন ভাতা কিছুই নেই,সো এরকম ঘটনা কোন ফ্যাক্টর না। স্বাভাবিক ব্যাপার এসব বলে তিনি ও ফোন রেখে দেন।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ