১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

তানোরে বিএনপির দু’গ্রুপের দফায় দফায় হামলা ভাংচুর মারপিটে আহত ১২

আশরাফুল আলম তানোর থেকে:

আব্দুস সামাদ

রাজশাহীর তানোরে দফায় দফায় বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা ভাংচুর মারপিটে ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলা কামারগাঁ ইউপির ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে ও মাদারীপুর বাজারে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপি চলা এই হামলার ঘটনায় ২টি দোকান ও ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হলেন, আব্দুস সামাদ (৫০) আব্দুর রৌফ (৪৫) মতিউর রহমান (৪৮), ওবায়দুর রহমান (৫০) শামসুল মন্ডল (৫৮)ফিরোজ মাহমুদ (৪৫), মাহাবুর রহমান ( ৩৮) এখলাছুর রহমান (৫৩)। অন্যদের নাম পরিচয পাওয়া যায়নি। 

আহতদের মধ্যে ২জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে ১ জনকে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এঘটনায় সন্ধ্যায় সুলতানুল ইসলাম তারেক তানোর থানায় হাজির হয়ে ওসিকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে অবহিত করেছেন বলে জানান তিনি। 

ওবাইদুর

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে সংসদ সদস্য পদে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী শিল্পপতি সুলতানুল ইসলাম তারেক বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও ভবানীপর মাদ্রাসা মাঠে শীতার্থদের মধ্যে বিএনপির ব্যানারে কম্বল বিতরনের আয়োজন করেন। শনিবার দুপুরের মধ্যেই ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে স্টেজ তৈরি করা হয়। 

বিএনপির ব্যানারে অনুষ্ঠান করে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের না বলার কারণে মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন গ্রুপের নেতাকর্মিরা লাঠি ও পাইপ হাতে মাদ্রাসার মাঠের স্টেজের সামনের চেয়ার ভাংচুর ও ব্যানার ছিড়ে ফেলেন এবং  মাদারীপুর বাজারে এসে অবস্থান নেন। এসময় তারেক গ্রুপের উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সামসুল আলম ও বিএনপি নেতা ওবাইদুর রহমানকে তার দোকানে মারপিট ও দোকান ভাংচুর করেন। তবে, পুলিশের একটি গাড়ী সেখানে অবস্থান করলেও রহস্য জনক কারনে নিরব ছিলো বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শিরা। 

পরে তারেক গ্রুপের নেতাকর্মিরা মাদারীপুর বাজার ভবানীপুর রাস্তায় অবস্থান নেন। এসময় তারেক গাড়ী বহর নিয়ে মাদারীপুর বাজারে আসামাত্রই তারেক গ্রুপের নেতাকর্মিরা মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিনের গ্রুপের খলিলের দোকানে হামলা চালিয়ে দোকান ও ২টি মটরসাইকেল ভাংচুর ও খলিলকে লাঞ্ছিত এবং আব্দুর রউফকে এবং সামাদ ও বাবু ডাক্তারকে মারপিট করে বাজার দখলে নেন। 

প্রায় ঘন্টা ব্যাপি এমন দফায় দফায় হামলা ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি রনক্ষেত্রে পরিনত হয় মাদারীপুর বাজার এলাকা। পরে তারেক তার লোকজন নিয়ে ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে কম্বল বিতরণ করে শেষে তানোর থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে মৌখিক ভাবে অবহিত করলেও কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। 

আব্দুর রৌফ

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ভবানীপুর মাদ্রাসা মাঠে কম্বল বিতরণের বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করেছিলেন। তাই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এঘটনায় তানোর থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

প্রকাশিত: মাহবুব জুয়েল।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ