সর্বশেষ সংবাদ
স্টাফ রিপোর্টার: নাটক এখন শুধু টেলিভিশনে সীমাবদ্ধ নেই। গেল কয়েক বছর ইউটিউবের জন্যও নিয়মিত নাটক নির্মাণ হচ্ছে। ফলে নাটকের দর্শক এখন অনেক বেশি। তবে এই দুই মাধ্যমের নাটক নিয়ে ক্রমান্বয়ে সিনিয়র শিল্পীদের অসন্তুষ্টি বাড়ছে। অনেক শিল্পী তাদের ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। আজকাল অনেক নাটকে মানহীন গল্পের সঙ্গে অশালীন ভাষা যোগ হয়েছে বলে সিনিয়র শিল্পীরা মন্তব্য করেন। ভিউর দিক দিয়ে এসব নাটক এগিয়ে থাকলেও এগুলোর কারণে বাংলা নাটক ঐতিহ্য হারাচ্ছে বলে মনে করেন তারা। বিশিষ্ট টিভি অভিনেতা ড. ইনামুল হক বলেন, এই সময়ের নাটক নিয়ে আর কত বলবো? যারা নাটক নির্মাণ করছেন এবং যারা অভিনয় করছেন তারা যদি সচেতন না হোন তাহলে আমরা শুধু বলেই যাবো। কিন্তু কোনো পরিবর্তন আসবে না। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমাদের নাটকে ভাষার বিকৃতিসহ অশালীন ভাষার ব্যবহার হচ্ছে ইচ্ছেমতো। এসব নোংরামি আমাদের সুনাম নষ্ট করছে। যারা মনে করে এতে দর্শক বেশি পাওয়া যায়, আয়ের একটা বিষয়ও থাকে। সেটি ভুল এবং সত্যিই অপরাধ। টিভি কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে নাটক নির্মাণ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ববোধ থাকা উচিত। জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা আবুল হায়াত বলেন, এখন তো প্রতিদিন একাধিক নাটক নির্মাণ হচ্ছে। টিভি চ্যানেলের পাশাপাশি আমাদের অনেক ইউটিউব চ্যানেল হয়েছে। কিন্তু এসব নাটকে ঘুরে ফিরে নির্দিষ্ট কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে দেখা যায়। কারণ, এখন তাদের নিয়েই গল্প লেখা হয়। গল্পে নায়ক-নায়িকারই প্রাধান্য থাকে। স্যাটেলাইট চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নাটক নির্মাণের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু কমে গেছে গল্পের মান। ক্রমন্বায়ে নাটকের সংলাপে প্রবেশ করেছে আঞ্চলিক ভাষা। সেসঙ্গে এখন অনেক নাটকে অশালীন ভাষাও শোনা যায়। এসব নাটকে বেশ ভিউ হচ্ছে। কিন্তু নতুন প্রজন্ম এসব নাটক দেখে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষাও শিখছে। এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক বিষয়। ইউটিউবের জন্য আপনি যা খুশি তা নির্মাণ করবেন, তার মানে এই নয় আমাদের ঐতিহ্য নষ্ট করবেন। এখন যারা নিয়মিত অভিনয় করছে তাদের আরো সচেতন হওয়া জরুরি বলে মনে করি। শুধু তারকাখ্যাতির জন্য অভিনয় করলে কেউ বেশি দিন দর্শকের মনে থাকে না। বিশিষ্ট অভিনেত্রী ডলি জহুর বলেন, গেল কয়েক বছর নাটকে তেমন অভিনয় করা হচ্ছে না। সত্যি বলতে এই সময়ে অভিনয় করার মতো আমাদের কিছু নেই। অভিনয় করার জন্য চরিত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই সময়ে বেশির ভাগ নাটকের গল্পে নায়ক-নায়িকা চরিত্র দুটিরই প্রাধান্য থাকে। এছাড়া কিছু নাটকের স্ক্রিপ্ট এতটা খারাপ থাকে যেগুলোতে অভিনয় করার জন্য কোনো রুচি হয় না। আজকাল নাটকে ভাষারও বিকৃতি হচ্ছে। এটি আমাদের জন্য কষ্টের একটি বিষয়। একটা সময় নাটকে সংলাপ আমাদের দর্শকের মুখে মুখে শোনা যেত। সেই এতিহ্য আমরা হারাতে বসেছি। জনপ্রিয় অভিনেতা আজিজুল হাকিম বলেন, সময়ের সঙ্গে সব কিছুতে পরিবর্তন আসবে। তাই বলে যা খুশি নির্মাণ করবো, এটা হয় না। আমাদের পাশের দেশের টিভি সিরিয়ালগুলো আমাদের দর্শক দেখেন। অথচ আমাদের টিভি সিরিয়ালের কথা দর্শক মনে রাখে না। কেন এমনটা হচ্ছে? আমরা কি সেটি নিয়ে ভাবি? সত্যি বলতে এই সময়ে আমাদের টিভি নাটকে গল্প নেই। আবার ইউটিউবের জন্য যে নাটকগুলো নির্মাণ হয় সেগুলোতে আমাদের অভিনয় করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ এসব নাটকে দর্শকের আকর্ষণ করার জন্য সুড়সুড়ি মূলক সংলাপের ব্যবহার করা হয়। এমন সংলাপে অভিনয় করা আমার জন্য কখনো সম্ভব নয়। আমি মনে আমাদের ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটারের অভাব নেই। সময় নিয়ে তাদের দিয়ে ভালো স্ক্রিপ্ট করে নাটক নির্মাণ প্রয়োজন। আমাদের সাহিত্যনির্ভর নাটকগুলোও দর্শক দেখেন। তাই বিভিন্ন সাহিত্যিকের গল্প থেকে নাটক নির্মাণেও এগিয়ে আসতে হবে। জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুইটি বলেন, এই সময়ে নাটকের ভাষা বিকৃতি ও অশালীন ভাষার ব্যবহার নিয়ে আমি সত্যি চিন্তিত। কোন দিকে যাচ্ছে আমাদের বাংলা নাটক? একই সঙ্গে নাটকের গল্পও থাকছে না। নায়ক-নায়িকা নির্ভর কিছু সংলাপ দিয়ে বেশিরভাগ একক নাটক নির্মাণের কাজ শেষ হচ্ছে। টিভি ধারাবাহিকগুলোও গল্পে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে না। এভাবে নাটক নির্মাণ হতে থাকলে দর্শক একটা সময় বাংলা নাটক দেখা বন্ধ করে দিবে বলে মনে করি।
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদপ্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।