১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ’লীগের এক নেতার পুকুর খনন

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুঠিয়ায় সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলা আ’লীগের এক নেতা পুকুর খনন করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুকুর খননের কাজ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে জানাগেছে, গত বছর একটি পরিবেশবাদী সংগঠন হাই কোর্টের একটি বেঞ্জ পুঠিয়া উপজেলাসহ কয়েকটি উপজেলার ফসলী জমিতে পুকুর খনন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ওপর একটি রুল জারি করেন। উপজেলা প্রশাসন গত বছরের শুরু দিকে উপজেলার কোনো স্থানে নতুন করে পুকুর খনন করতে দেয়নি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া মৌজায় ফসলী জমিতে আ’লীগ নেতা আবুল ফজেল বিশাল পুকুর খননের কাজ শুরু করেন। তার পুকুর খনন করা দেখে,তার পাশেই শাহীন নামের এক ব্যক্তি তিন একর ফসলী জমিতে স্কেভেটারের মাধ্যমে রাতা-রাতি পুকুর খননের কাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন পুকুর খনন বন্ধ করা নির্দেশ দেওয়ার পর গোপনে রাতের আধারে খনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এলাকার এক শ্রেণীর মৎস্য ব্যবসায়ীরা জমির মালিকদের বেশী টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলী জমিতে স্কেভেটার মাধ্যমে দ্রুতগতিতে পুকুর খনন করার কাজ করে থাকেন। এলাকাবাসী অভিযোগ দিলে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ পুকুর খননের কাজ বন্ধ করে দিচ্ছেন। তারপর কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর পূর্ণরায় আবার খনন কাজ শুরু হচ্ছে। পুকুর খনন কাজে উপজেলা প্রশাসন বাধা দিলে খননকারীরা উচ্চ আদালতে রীট করে পুকুর খনন কাজের অনুমতি নিয়ে পুনরায় পুকুর খনন শুরু করে। উপজেলা আ’লীগ নেতা আবুল ফজেল বলেন, আমার উচ্চ আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে পুকুর খনন করছি। উপজেলা ভূমি কমিশনার আমার বাড়িতে গিয়ে ভেকুর ব্যাটারীর খুলে নিয়েছে এবং ভেকুটি ভাংচুর করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, উপজেলা প্রশাসন কোনো নতুন পুকুর খনন করার সংবাদ পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনুঙ্গ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে। আমরা কয়েক দিন আগে আবুল ফজেলের পুকুর খননের সংবাদ পাওয়া মাত্র খনন কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। পরে তিনি একটি হাই কোর্টে রীট আবেদেনের কপি আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু সেখানে বিলমাড়িয়া মৌজা উলেøখ আছে। রীটে কোনো দাগ নম্বার দেয়া নেই। গতকাল তাকে পুকুর খনন করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ