১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

তানোরে মাদ্রাসা শিক্ষকের নামে ব্যাংক কেলেঙ্কারি মামলা।।

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী তানোর উপজেলার তানোর পৌর এলাকার মোল্লাপাড়া গ্রামের আরজান মাস্টারের ছেলে জিওল দারুচ্ছুন্না মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও তানোর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেনের নামে সহ সাতটি এ্যাকাউন্ট এর উপরে ২০১৪ সালে তানোর সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যাংক কেলেঙ্কারি ৭৮ লাখ প্রায় কোটি টাকার মামলা হয়। তার ভাই শফিকুল ইসলামও তানোর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। তিনিও পেশায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। অর্কিড স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও শফিকুল ইসলাম জড়িত। হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ মাদ্রাসা শিক্ষক ও তানোর এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেনের পরিবার। অনেকদিন যাবত ধরে জনমনে প্রশ্ন জেগে আসছিল কোথায় পেলেন তারা এতো টাকা তাদের আয়ের উৎস কি? শিক্ষক থেকে হঠাৎ তারা হয়ে যান বড় ব্যবসায়ী। প্রথমে তারা শুরু করেন মোটরসাইকেল ও টিভি ফ্রিজের ব্যবসা। ডিলারশিপ নেন টিভিএস অটো বাংলাদেশ লিমিটেডের, এরপরে কিছুদিন পরেই ডিলারশিপ নেন হিরো মটরস এর। অনেকদিন যাবত ধরে একে অন্যের মুখে শোনা যায় তারা নাকি তানোর সোনালী ব্যাংক শাখার কর্মকর্তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কেলেঙ্কারি করে  সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তবে এতদিন পরে আস্তে আস্তে সকল রহস্য বেরিয়ে আসে। ২০১৪ সালে তানোর সোনালী ব্যাংক শাখার দুই কর্মকর্তা ও তানোর এন্টারপ্রাইজের একাউন্টের স্বত্বাধিকারী জিওল দারুচ্ছুন্না মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও তানোর এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের নামে সহ সাতটি এ্যাকাউন্ট এর উপরে ব্যাংক কেলেঙ্কারি ৭৮ লাখ অর্থাৎ প্রায় কোটি টাকার মামলা হয়। যা এতদিন পরে ছদ্দবেশী ভালো মানুষ শিক্ষক পরিবারের এমন অনৈতিক ধিক্কার জনক জালিয়াতি মামলার কথা প্রকাশ পায়। সুধীজন মনে করেন শিক্ষকরা যদি এ ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে জাতি আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। যারা শিক্ষা দেয় তারাই যদি এ ধরনের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। সমাজে যারা আজ ভালো ভালো কথা বলে ইসলামের কথা বলে তারা যদি এ ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে সমাজ কার উপর ভরসা করবে। এ ধরনের ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া দরকার।

জনসাধারণ ও সুধীজনরা মনে করেন তারা যেহেতু ব্যাংক কেলেঙ্কারির মতো এত বড় দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাহলে তাদের মধ্যে আরো দুর্নীতি লুকিয়ে থাকতে পারে তাই তাদের সকল আয় এর উৎস ও তাদের সম্পদের হিসাব আইন প্রয়োগকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখা উচিত।

সারাদেশে চলছে শুদ্ধি অভিযান এরই ধারাবাহিকতায় তার ও তার পরিবারের উপর অর্পিত হোক এই শুদ্ধি অভিযান। আসল ঘটনা উদঘাটন করে গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করা হোক তাদের দুর্নীতি। সমাজে মুখোশধারীরা যেন আর এ ধরনের দুর্নীতি করতে না পারে তাই সঠিক তদন্ত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক। আরো বিস্তারিত কিছু জানতে সঙ্গেই থাকুন।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ