সর্বশেষ সংবাদ
মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক:সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন বিদ্যুতের উৎপাদন সম্ভব্য ক্ষমতা প্রায় ২১ হাজার মেগাওয়াট । যদিও দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১২ হাজার মেগাওয়াটের মতো। অর্থাৎ তথ্য অনুযায়ী চাহিদার চেয়ে নয় হাজার বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষমতা এখন বাংলাদেশের রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ খাতটি ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে’ একীভূত অবস্থায় ছিল। এই খাতের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতটিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক করে।
পরবর্তীতে ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যর্থতা, দুর্নীতির ফলে দাতা সংস্থা গুলোর বিনিয়োগের অনাগ্রহ প্রকাশ করায় দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় মাত্র ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। পরবর্তী সময়ে ২ বছরে বেশী সময় সামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালিন তেমন কোন উল্লেখযোগ্য কোন উন্নতি সাধন হয়নি এইখাতে।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে ক্ষমতাগ্রহণের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এই খাতের উন্নয়নের জন্যে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে। পাওয়ার সেলের তথ্যমতে, ২০০৯ সালে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। ১১ বছরে তা বেড়ে উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৭২৭ মেগাওয়াটে । সে হিসাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে ১৭ হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট। ২০০৯ সালে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৭টি। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৭টি। ২০০৯ সালে বিতরণ লাইন ছিল মাত্র ২ লাখ ৬০ হাজার কিলোমিটার। ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার।
জানা যায়, বর্তমানে মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৯ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যেগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ২৩টি উপজেলায় শতভাগ বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ এর মার্চ মুজিব বর্ষ। এরই মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করবো। যেখানে গ্রিডলাইন পৌঁছেনি, সেখানে সোলার বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করবো। কেউ অন্ধকারে থাকবে না, সব ঘরে আলো জ্বলবে।‘
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।