সর্বশেষ সংবাদ
মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক:মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় আহত ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর গোলাম রব্বানী। এ সময় দায়িত্ব পালন করতে না পারলে তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরকে দেখতে যান উপাচার্য ও প্রক্টর। এ সময় ছাত্ররা উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘স্যার দায়িত্ব পালন করতে না পারলে আপনি পদত্যাগ করেন। যদি মনে করেন, আপনি পারবেন না, তাহলে পদত্যাগ করেন। আমাদের গুলি করেন স্যার। আমাদের মেরে ফেলেন। আমরা কিছু করব না।’
এর আগে গতকাল রোববার বেলা পৌনে ১টার দিকে ডাকসু ভবনে ঢুকে ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর এ হামলা চালানো হয়। হামলায় নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ডাকসুতে ইট-পাটকেল ছোড়েন।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় ডাকসুর সদস্য ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য তাদের বাধা দিতে গেলে তাকেও শিবির আখ্যা দিয়ে লাঞ্ছিত করেন তারা। পরে ছাত্রলীগ নেতা ও সূর্যসেন হল সংসদের ভিপি মারিয়াম জামান সোহান এবং জিএস সিয়াম হামলায় অংশ নেন। তারাও লাঠিসোটা নিয়ে ভিপি নুর এবং অনুসারীদের মারধর শুরু করেন।
ঘটনার সময় হামলাকারীরা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক এ পি এম সুহেলকে ডাকসু ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন। সুহেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কয়েক দফা মারধরের শিকার আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন ফারাবীকে গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তুহিন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং সুহেল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এ ছাড়া হামলায় আহত নুরুলের ভাই আমিনুর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
ঢাবির উপাচার্য ও প্রক্টর হাসপাতালে গেলে নুরসহ অন্যরা তাদের কাছে হামলার বিবরণ দেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে একটি ঘটনা ঘটানোর প্রয়াস ছিল। ছবিতে বহিরাগতদের দেখেছেন তিনি। ষড়যন্ত্রকারীরা লাশ চাইছিল।
এক ছাত্র প্রক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে উপাচার্যকে বলেন, ‘স্যার (প্রক্টর) আমার অভিভাবক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। উনি আমাকে রক্ষা করবেন। উনি আমার বাবার বয়সী। উনি আমাকে বলেছেন, তোমাকে বহিষ্কার করব। পুলিশে দেব। আমার বুকটা ফেটে গেছে।’
তোপের মুখে উপাচার্য ও প্রক্টর হাসপাতালের কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে থাকলে বিক্ষুব্ধরা নানা স্লোগান দেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।