সর্বশেষ সংবাদ
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষার আগে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া চাকরিপ্রার্থী নুরুল হুদার স্ত্রীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। বিষয়টি উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানকে জানানোর পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ছাড়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া নূর নূসরাত সুলতানার আবেদনের যোগ্যতাই ছিল না।
গতকাল শনিবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হুদা এসব অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াটিরই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন তিনি। আনীত অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেননি নুরুল হুদা। যদিও তিনি দাবি করেন, তার কাছে প্রত্যেকটি অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে; তদন্ত কমিটিকে সেগুলো দেখাতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নুরুল হুদা আরও বলেন, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আমার স্ত্রীর সঙ্গে রাবি উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার ফোনালাপ ফাঁসের পর উপ-উপাচার্য গত ৩ অক্টোবর চাকরি ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রস্তাব দেন এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। বিষয়টি গত ১১ অক্টোবর রাবির দুই শিক্ষকের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানকে জানানো হলে তিনি এ সম্পর্কে অবগত নন বলে তাদের জানান।
উপাচার্যের পক্ষ থেকে ওই দুই শিক্ষকের মাধ্যমে তাকে সমঝোতায় বসার প্রস্তাব দিয়ে চুপ থাকতে বলা হয় বলে দাবি করেন নুরুল হুদা। তবে কোন দুই শিক্ষকের মাধ্যমে তিনি উপাচার্যকে বিষয়টি জানিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা উল্লেখ করেননি।
নিয়োগের সাক্ষাৎকারের কিছু দিন আগে আইন বিভাগের সভাপতি আবদুল হান্নানকে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে নুরুল হুদা বলেন, অধ্যাপক আবদুল হান্নান ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর আমার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন। ১৩ নভেম্বর নিয়োগ বোর্ডের সাক্ষাৎকারের আগের দিন ১২ নভেম্বর তিনি টাকা পরিশোধ করেন। টাকা ধার ও পরিশোধের ব্যাপারটি তিনি ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ নভেম্বর উপ-উপাচার্য জাকারিয়ার ভাগ্নে ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক গাজী তৌহিদুর রহমানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেন।
নুরুল হুদার আনীত অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এর পর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা জয়। তাকেও পাওয়া যায়নি।এ দুজনকে না পেয়ে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা এ নিয়ে মন্তব্য করতে অসম্মতি জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। বলা হচ্ছে, ফোনালাপের পুরুষ কণ্ঠটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার আর নারী কণ্ঠটি নুরুল হুদার স্ত্রী সাদিয়ার। ফোনালাপে পুরুষ কণ্ঠটিকে বলতে শোনা যায়, ‘আচ্ছা মা, একটা কথা বল তো… আমার খুব শুনতে ইচ্ছা যে, এখানে তোমরা কত টাকা দেওয়ার জন্য রেডি আছ?’
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।