১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

মির্জা আজম আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় জামালপুরে জামালপাশা নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ফাহিম ফরহাদঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের জাতীয় কাউন্সিলে জামালপুরের মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ আসন থেকে ছয়বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করায় জামালপুরে জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে। জামালপুরসহ দেশের অনেক স্থানে নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিল, ততক্ষাণিক শোভযাত্রা বের করে উল্লাস করছেন। জামালপুরের উন্নয়নের রূপকার ও অন্যতম রাজনৈতিক সংগঠক ও তৃনমলের প্রিয় নেতা সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী ও নব-নির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন, সরিষাবাড়ী আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মো. মুরাদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ অনেকে।   সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ায় জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন জামালপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম তুফান, সাংগঠনিক সম্পাদক নিপুন জাকারিয়া, কোষাদক্ষ মাহামুদুল হাসান মুক্তাসহ স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিকে ২১ ডিসেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি পদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষনা করা হয়। নাম ঘোষনার পর্যায়ে ক্রমে কমিটিতে অন্যান্য পদে সাথে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মির্জা আজমের নাম ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই জামালপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড পরিশ্রমী কাউন্সিলর ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, রাজপথে সাহসী সৈনিক জামাল পাশার নেতৃত্বে শহরের বানিয়াবাজার থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বকুলতলাস্থ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বাসার সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়। সমাবেশ থেকে মির্জা আজমকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী ও নবনির্বাচিত সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও অভিনন্দন এবং শুভ কামনা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল পাশা।  পরে তারা সেখান থেকে আনন্দ মিছিল নিয়ে বজ্রাপুরে রাজিব বাস কাউন্টারে পাশে গিয়ে জনগনের মিষ্টি বিতরণ করেন। জানা যায়- সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জামালপুর-৩ মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে একাধারে ছয়বার ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৮ম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ এবং ৯ম জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ছিলেন। তিনি ৫ম সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির, ৭ম সংসদে সরকারি প্রতিশ্রুতি সংক্রান্ত কমিটির এবং বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির এবং ৯ম সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একই বছরের ১৩ জানুয়ারি তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পাবার আগে থেকেই এবং মন্ত্রিত্ব দায়িত্ব পাবার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বিগত টানা ২৯ বছর ধরে তার আসনের দুই উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সারা জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন প্রকল্প আনতে সক্ষম হন। জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, শেখ হাসিনা নকশী পল্লী, বাইপাস সড়ক নির্মাণসহ সারা জেলায় বিভিন্ন স্তরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বরাদ্দ আনতে সক্ষম হন। এসব প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। জামালপুরকে একটি উন্নত ও মডেল জেলায় রূপান্তরসহ দারিদ্র দূরীকরণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন মির্জা আজম।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ