প্রতারক চক্রের গডফাদার সেই লালের প্রলোভনে রাবি শাখার অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতারণা।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতারক চক্রের গডফাদার সেই লালের প্রলোভনে রাবি শাখার অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রতারণা।

মোঃ মাহবুব আলম জুয়েল (সম্পাদক): দাদন ব্যবসা করে অল্প দিনেই লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় রাজশাহী সুগার মিলের পিয়ন মো.লাল সরকারের নামে। এলাকার অসহায় মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগে চড়া সুদে টাকা ধার দেন এ লাল মিয়া। জামানত হিসেবে সাদা চেক নেন ও পরে তা হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে পরে সেই চেকে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে ডিজঅনার করে মিথ্যা চেকের মামলা তার দীর্ঘদিনের অসাধু ব্যবসা। চেক হারানোর এ নাটক তিনি প্রায় ১০/১২ জনের সাথে করেছেন। এ ব্যাপরে মাদারল্যান্ডের প্রতিবেদক রাজশাহী সুগার মিলের মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহিনূল ইসলামের সাথে আলাপ চারিতায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মহা ব্যবস্থাপক নতুন যোগদান করেছেন ও তার নাম জানে লাল মিয়া। সুগার মিলের গেট ম্যান ও সাধারণ কর্মচারিরা তার নাম নিয়ে পড়েন বিপাকে। কেউ কেউ বলেন লাল আবার কেউ লাল মিয়া ও সরকার। প্রতারক লাল মিয়ার খপ্পরে ভুক্তভোগী কয়েক জন সব হারিয়ে আজ সর্বশান্ত। ভুক্তভোগীরা হলেন- ১. বাবর আলী (৩৮) গ্রাম- হরিয়ান ২. সোহেল (৪০) গ্রাম- কাজলা ৩. অলি বাবু -সেস: টারি: রাজ: বি:বি: ৪. ডা: আনোয়ার চক্ষু বিশেষজ্ঞ ৫. লেমন। কখনো অফিস পিয়ন কখনো ওয়াচ ম্যান আবার কখনো আখ সাপ্লাইয়ের কাজ পান। ইচ্ছে মতো তার কর্ম পরিবর্তন করেন। একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার কর্ম স্থানে গেলে সাংবাদিকের আসার খবর পেয়ে সে গা ঢাকা দেয়। চেক জালিয়াতি করে এভাবে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়ে যাওয়া এ পিয়নের ক্ষমতার জোর কোথায়? রাজশাহী সুগার মিলের মহা ব্যবস্থাপক মোহাম্মাদ শাহিনূল ইসলামকে লাল মিয়ার বিষয়টা জানানো হলে তিনি বলেন, অফিসিয়াল ভাবে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টা দেখবেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম ০৬/০৮/১৬ সালে মতিহার থানায় জিডির ভিত্তিতে লেমন নামের এক ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করে দেন। তবে একাউন্ট বন্ধ থাকলেও লালের প্রলোভনে সেই একই কর্মকর্তা ০৬/০৮/২০১৭ সালে বন্ধ করা একাউন্ট টির চেক ডিজ আনার করে দেয়। ফলে লাল লেমনের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকার মামলা করে। ব্যাংক কর্মকর্তার দূর্নীতির কারনে লেমনসহ কয়েকজন আজ লাল মিয়ার মিথ্যা মামলায় ঝুলছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার বর্তমান কর্মরত সহকারী-মহাব্যবস্থাপক বাবলু মুহুরী সাহেবের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন যে কাজটি আমাদের পূর্বের ব্যাংক কর্মকর্তারা করেছেন তা অত্যন্ত দুঃখজনক লজ্জাজনক এটা তারা মারাত্মক ভুল কাজ করেছেন আমি পূর্বের প্রত্যয়ন পত্রের ভিত্তিতে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছিলাম তবে মহামান্য আদালত যদি আমি থাকা অবস্থায় প্রতিবেদন চেয়ে পাঠাই তাহলে আমি সঠিক প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেব যেন মামলায় ভুক্তভোগীরা মামলা থেকে মুক্তি পায়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখার পূর্বের সহকারি ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম এবং সিনিয়র অফিসার মোরশেদ আলীর এ সমস্ত দূর্নীতির দায়ে বিচারের আওতায় আনতে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও এলাকার সুধীজন। রাবি শাখার অগ্রণী ব্যাংকের এসমস্ত অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে কয়েকজন লোক আজ মিথ্যা মামলায় ঝুলছে সবকিছু হারিয়ে তারা সর্বহারা। প্রতিনিয়ত অশান্তিতে দিন কাটছে তাদের। অতি শীঘ্রই এ সমস্ত মিথ্যা মামলার অবসান ঘটাতে ভূক্তভোগীরা রাজশাহীর মহামান্য আদালতের কাছে আকুল আবেদন জানান।