সর্বশেষ সংবাদ
জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজশাহী টাংগন এলাকায় সাজিদ হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওসি তদন্তের বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধা ৭টার দিকে কাটাখালী থানাধীন টাংগন এলাকার একটি মাদক স্পট থেকে তাকে আটক করেন এএসআই আবু বক্কর ও সঙ্গীয় ফোর্স।
আটককৃত সাজিদ হোসেন নগরীর কয়েরডারা খৃষ্টান পাড়া এলাকার মোঃ মুঞ্জুর রহমানের ছেলে।
পরে খবর পেয়ে সাজিদের বড় ভাই মিঠু তার ভাইকে ছাড়াতে থানায় ছুটে যান তার ভাইকে ছাড়াতে। যোগাযোগ হয় ডিউটি অফিসার এএসআই আবু বাক্কারের সাথে। তিনি নিয়ে যান ওসি তদন্ত মোঃ মতিয়ার রহমানের কাছে।
যাইহোক মাদকসেবি সাজিদ হোসেনকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে থানা হাজত থেকে মুক্তিদেন ওসি তদন্ত।
এনিয়ে মুঠোফোনে ওসি তদন্ত মতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কড়া ভাষায় বলেন, আমি কাউকে আটক করিনি এবং সাজিদ হোসেনের ভাই মিঠুকে আমি চিনিনা।
তবে মুঠোফোনে ডিউটি অফিসার আবু বক্কর বলেন, ভাই তদন্ত ওসি সাহেব আরএমপি করতে চেয়েছিলেন। তবে কি আলাপ হলো আমি জানিনা। পরে তাকে থানা হাজত থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। টাকা কত নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনলাম ৫হাজার টাকা নিয়েছে। বাদ দেন ভাই খবরে লিখেন না।
গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) ৩ জন মাদক সেবিকে ধরে থানা থেকে ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ভুক্তভোগীরা নাম প্রকাশ করতে চাইনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় টাংগন এলাকায় শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিন-রাত সমানে সকল শ্রেণী পেশার যুবকদের যাতায়াত। উদ্দেশ্য ফেন্সিডিল ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সংগ্রহ ও সেবন করা। আর মাদক সেবিরাই হচ্ছে ওসি তদন্তের বলির পাঠা।
মূল ব্যবসায়ীরা ধরা ছোয়ার বাইরে। তাদের ধরলেই তো ওই এলাকায় মাদক শূণ্য হয়ে পড়ে। কিন্তু গাছের গোড়া কে খেতে চায়। গাছ তাজা রেখে ফল খাওয়ায় বুদ্ধি মানের কাজ হচ্ছেও তাই।
ধরা পড়ছে মাদক সেবি। রফাদফা মধ্যে দিয়ে কেউ আরএমপিতে চালান। আবার অংকটা ভাল পেলে থানা থেকেই মুক্তি।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, সকল চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা বহাল তবিয়তে থেকে মাদকের কেনা-বেঁচা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ধরলেই তো বাইরে থেকে টাংগন এলাকায় মাদক সেবী আসা বন্ধ হতো। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছেনা।
তারা আরো বলেন, বিভিন্ন সময় সাদা পোশাকে টাংগন, ইউসুফপুর এলাকায় বস্তা বস্তা ফেন্সিডিল গাঁজা আটক করেন সাদা পোশাকধারী প্রশাসন।
কিন্ত যেখানে আটক সেখানেই বিক্রি হয়ে যায়। আর আলোচনা মনপূত না হলে আটক করে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারীরা।ধরা ছাড়ার মধ্যে দিয়ে চলছে মাদক বিরোধী অভিযান বলেও জানান স্থানীয়রা।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।