সর্বশেষ সংবাদ
জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীতে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের দুই বোন ও এক কিশোরকে পিটিয়ে আহত করেছে কুখ্যাত সুদ ব্যবসায়ী শহরবানু স্বামী সিরাজ ও মেয়ে স্বর্নালী।
এ সময় জাতীয় সেবা কেন্দ্র ৯৯৯ কল দিয়ে বিষয়টি অবগত করলে নগরীর চন্দ্রিমা থানার এএসআই রেজোয়ান ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে সুদ ব্যবসায়ী শহরবানু ও তার মেয়ে স্বর্ণালীকে হাতেনাতে আটক করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন ছোটবনগ্রাম পশ্চিম পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন, ছোটবনগ্রাম পশ্চিম পাড়া এলাকার শামীম মোল্লার স্ত্রী সেলিনা (৩০), তার বোন রোজিনা (২২) ও সেলিনার নাবালক ছেলে সুমন (১১)।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সুমন ও রোজিনাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে ৩ মাসের অন্তঃসত্বা পেটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সেলিনাকে রামেকের ২৮ নং ওয়ার্ড (গাইনী বিভাগে) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগী রোজিনা বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-৩৫, তাং-২৯-১১-২০১৯। রোজিনা বলেন, তার বড় বোন সেলিনার স্বামী মামুন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে গত ২০১৬ সালে শহরবানুর নিকট সুদে ১০ হাজার টাকা নেয়। পরে এ যাবত ১০ হাজার টাকার সুদ পর্যায়ক্রমে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে পরিশোধ করেন সেলিনা।
এরপর সুদ ব্যবসায়ী শহরবানু সেলিনাকে তার বাড়িতে ডেকে ৩টা চড় (থাপ্পড়) মেরে ঘরে আটকিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে সহি নিয়ে পরে আবারো ১২ লক্ষ টাকার দাবি করে। এ ঘটনার পর সেলিনা গঁলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে শহরবানু তার মেয়ে স্বর্ণালী ও স্বামী সিরাজকে নিয়ে সেলিনার বাড়িতে হামলা করে।
এ সময় তারা লাঠি, জিআই পাইপ দিয়ে মেরে তাদের আহত করে। ওই সময় স্থানীয়দের মধ্যে কেউ ৯৯৯- জাতীয় সেবা কেন্দ্রে ফোন দিলে, চন্দ্রিমা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সুদ ব্যবসায়ী শহরবানু ও তার মেয়ে স্বর্ণালীকে আটক করে। তবে তার স্বামী সিরাজ পালিয়ে যায়।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, জাতীয় সেবা কেন্দ্র ৯৯৯-থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমের বাড়ি থেকে সুদ ব্যবসায়ী শহরবানু ও মেয়ে স্বার্ণালীকে আটক করা হয়েছে। তবে তার স্বামী সিরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বোন বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আসামীদের কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, শহরবানুর আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক খুশি ছোটবনগ্রাম এলাকার মানুষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই বলছেন দির্ঘ প্রায় ২০ বছর পর এই প্রথম জেল-হাজতে গেলো অত্যাচারী শহরবানু। তার অন্যায়ের মাত্রা বেশি হওয়ার পরও কখনই পুলিশ তাকে আটক করেনি। তার সাথে পুলিশে সখ্যতাও গভীর বলে জানান তারা।
ছোটবনগ্রাম এলাকার একাধিক স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন, সুদ ব্যবসায়ী শহরবানুুর নিকট যারাই সুদে টাকা নিয়েছে। তাদের নিকট থেকে মিষ্টি কথা বলে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে সহি নিয়ে পরবর্তিতে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বশান্ত করেছে। কেউ ভিটা-মাটি বিক্রি করে হয়েছেন এলাকা ছাড়া। আবার কেউ হারিয়েছেন স্বামী সংসার।
তারা আরো বলেন, সামান্য কয়েক হাজার টাকা সুদে নিলে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে মুক্তি মেলেনা শহরবানুর নিকট।
এছাড়াও কারো সুদের টাকা দিতে দেরি হলে শহরবানু তার স্বামী, মেয়ে স্বর্ণালী ও তার ভাড়া করা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মারধর তার নিত্য দিনের ঘটনা।
শহর বানুর ভূমিকা সিনেমার দস্যূ ফুলনদেবির ভূমিকাকে হার মানায় বলেও জানায় স্থানীয়রা।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।