সর্বশেষ সংবাদ
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ মাহবুব আলম জুয়েলঃ
বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। অর্থনীতিতে এর কু- প্রভাব পড়েছে। সরকার এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও যথাযথ ফল পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে নতুন করে খেলাপি ঋণ বেড়েছে তিন হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। এ সময় মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকায়, যা এ যাবৎকালের রেকর্ড। খেলাপি ঋণের হারও বেড়েছে।
জাতীয় অর্থনীতির ওপর খেলাপি ঋণের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে এবং ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা আনতে ঋণখেলাপিদের ‘গণসুবিধা’ দেওয়া হয়েছিল। তাতে তেমন কোনো লাভ হয়নি। স্মরণ করা যেতে পারে, চলতি বছরের শুরুতে অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছিলেন, খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না। ঋণ খেলাপের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। খেলাপি ঋণ কমানোর প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ছাড় দিয়ে। ঋণ খেলাপের বিষয়ে আন্তর্জাতিক নীতিমালা শিথিল করা হয়, ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে পুনঃ তফসিলের সুযোগ দেওয়া হয় এবং অবলোপন নীতিমালাও শিথিল করা হয়। এ ব্যবস্থায় কাজ হয়নি। উল্টো খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের (রিপোর্টিং ইয়ার) তৃতীয় প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি ৩১ লাখ টাকায়, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ১১.৯৯ শতাংশ। আগের প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) শেষে ছিল এক লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যা ওই সময়ে বিতরণ করা ঋণের ১১.৬৯ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৩ হাজার ৯১১ কোটি টাকা (১০.৩০ শতাংশ)। চলতি বছরে জুনের পর তিন মাসে বেসরকারি ৪০ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দুই হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে বেড়েছে এক হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
গ্রাহক কী কারণে ঋণ খেলাপি হচ্ছে বা ঋণ নিয়ে তা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না কেন, এসব বিষয় নিয়ে নতুন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় এসেছে। বিশেষ করে ঋণ দেওয়ার আগে গ্রহীতার আগের রেকর্ড খতিয়ে দেখা, ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্ক ও ব্যবসার বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। ব্যাংকঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাবের বিষয়টিও ভেবে দেখা দরকার। খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে আমাদের অর্থনীতি আরো বেগবান হবে বলে আমরা মনে করি।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।