১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ধরে রাখার প্রচেষ্টাঅব্যাহত রয়েছে বললেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান

জামি রহমান: বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণ পদ্ধতির প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। গ্রামের ৬০-৭০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত। তাদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে সরকার ইতোমধ্যে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি আবিস্কারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি ধরে রাখার স্থায়ী সমাধান বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।সোমবার বিকালে সাম্প্রতিক বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সমস্যা সম্ভাবনা ও সামগ্রিক অগ্রগতিকে এনিয়ে নেয়ার জন্য প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বিএমডিএ’র অর্জনের পরিসংখ্যান তুলে ধওে তিনি বলেন, ১৫ হাজার ৫৫৩টি গভীর নলকূপ, ১৩ হাজার ৪৫৪ কিলোমিটার সেচের পানি বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও ৫২৫টি এলএলপি স্থাপন, ১০৬টি সোলার সেচ ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। ২০০৬ কিলোমিটার খাস মজা খাল পুনঃখনন করা হয়েছে, ৭৪৯টি ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১১ নদীতে পল্টুন স্থাপন, ৩০৯৮টি খাস মজাপুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। ৩০১টি পাতকূয়া নির্মাণ করা হয়েছে। ১১৪৩ কিলোমিটার সংযোগ রাস্তা নির্মাণ, ১৫৭৯টি খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ হয়েছে। পানির ব্যবহারের কারণে সারাবছর ফসলি জমি পড়ে থাকে না। বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ হচ্ছে। আমরা ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমিয়ে ভূ-পরিস্থ পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এসময় বিএমডিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুর রশীদও গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, বিএমডিএ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নীতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়েছে। বড় এই প্রতিষ্ঠানে ভুলত্রুটি আমাদের হতে পারে। সেজন্যও আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) আমাদের ধরিয়ে দিবেন। কারণ আমরা বরেন্দ্র অঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া থেকে বাঁচিয়ে বহুমূখী কৃষিশস্যের ভান্ডার গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ