১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

সব পদক্ষেপে পানি ঢেলে পেঁয়াজে আগুন বাড়ছেই

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: পেঁয়াজের কেজি আবারও ২৫০ টাকা। সরকারের নানা পদক্ষেপ ব্যর্থ করে দিয়ে সহজলভ্যতার বদলে এটি ক্রমেই যে আরো অধরা হয়ে পড়ছে। এফবিসিসিআইয়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মন্ত্রীদের বৈঠক, নানা আশ্বাসবাণী, শুল্ক গোয়েন্দায় শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারকদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ, বিদেশ থেকে উড়োজাহাজে করে আনাসহ নানা পদক্ষেপের পরও চোখের পলকেই দাম বাড়ছে পণ্যটির। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ মুহূর্তে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। না হলে সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা সংকট থেকে মুনাফা করতেই থাকবেন।

পেঁয়াজের বাজার সহনীয় করতে গত রবিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসে। এ সময় আমদানিকারকরা জানান, দ্রুত জাহাজে করে বড় চালানে পেঁয়াজ আসবে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, এসব পেঁয়াজ এ সপ্তাহেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে। বন্দর পর্যন্ত দাম পড়বে কেজি প্রতি ৩২ টাকা। আর তা ভোক্তারা ৬০ থেকে ৭০ টাকায় কিনতে পারবে। যদিও ব্যবসায়ীরা তখন এসব পেঁয়াজের দাম আরো কম হওয়ার কথা জানান। এমন ইতিবাচক আশ্বাসের এক দিন পরই পেঁয়াজের বাজারে আবারও লাগামহীন অস্থিরতা দেখা দেয়। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্যটির দাম ২৫০ টাকায় উঠে যাওয়ার খবর আসে।

এদিকে প্রায় প্রতিদিনই উড়োজাহাজে করে বিদেশ থেকে পেঁয়াজের চালান আসছে। পরিমাণে কম হলেও সরকার আশা করেছিল এসব পেঁয়াজ আসায় বাজারে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। দাম কমে আসবে। হয়েছে উল্টোটা। দাম তো কমছেই না, বরং বাড়ছে।

গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের দাম আড়াই শ টাকা ছুঁয়েছে। গেল কয়েক দিন ধরে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৮০, ২০০ থেকে ২১০ টাকা। চীন, মিয়ানমার তুরস্ক, মিসর, পাকিস্তান থেকে যে পেঁয়াজ আসছে সেগুলো চাহিদার তুলনায় কম বলে বাজারে এর প্রভাব খুবই সামান্য।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ যেকোনো সময়ের তুলনায় কম। ভারত থেকে আনা পেঁয়াজের ঘাটতি অন্যদেশ থেকে আমদানি করে কিছুতেই পূরণ করা যাচ্ছে না। আগে শ্যামবাজার আড়তে প্রতিদিন ১০০ ট্রাক আসত, এখন আসছে ১৫ থেকে ২০ ট্রাক পেঁয়াজ। ফলে সরকারের শত চেষ্টার পরও বাজারে পেঁয়াজের দাম কমছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দেওয়া আশ্বাস ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় নেমে আসবে—এটাই এখন শেষ ভরসা।

গতকাল শ্যামবাজারের পাইকারি বিক্রেতা মেসার্স নিউ ব্যাপারী এন্টারপ্রাইজের মাসুদুর রহমান দুলাল ব্যাপারী কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। যেখানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক মাল আসত। এখন তা পাঁচ ট্রাকে নেমেছে। একই সঙ্গে বিক্রিও কমেছে। তিনি জানান, নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত এই সংকট থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো ২০-২৫ দিন সময় লাগবে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজও প্রায় শেষের দিকে। এখন যা আসছে এগুলো মুড়ি কাটা।

শ্যামবাজারের সততা এন্টারপ্রাইজের অজয় সাহা বলেন, দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ আর মুড়ি কাটা (নতুন) বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা; চীন, মিসর ও তুরস্কের পেঁয়াজ বাজারে খুবই সামান্য। শান্তিনগর ও মালিবাগ খুচরা বাজারে গিয়ে দেশি পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এ সময় তারা সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানালেও তাদের কাছে পেঁয়াজের বিপুল সরবরাহ দেখা যায়।

কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মিজান জানান, রবিবার এ বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকার নিচে থাকলেও গতকাল আবারও তা ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় ওঠে।

এদিকে পেঁয়াজের বাজারে কারসাজি করে বাড়তি মুনাফা তুলে নেওয়ার অভিযোগে দেশের শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গতকাল কাকরাইলে সংস্থার কার্যালয়ে প্রথম দিন মোট ৪৭ শীর্ষ আমদানিকারকের মধ্যে ১৩ জনকে তলব করা হয়। তাঁদের মধ্যে উপস্থিত হন ৯ জন। বাকিরা অসুস্থতার জন্য আসতে পারেননি। আর আজকে যাঁদের আসার কথা তাঁদের চারজনও গতকাল হাজির হয়েছেন। বাকিদের আজ শুল্ক গোয়েন্দায় হাজির হয়ে আমদানি ও মজুদদারির তথ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছি। তারই অংশ হিসেবে এনবিআরের নির্দেশে শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারকদের ডেকেছি। আপাতত তাঁরা কার কার কাছে কী দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন, কতটুকু এখন মজুদ আছে ইত্যাদি জানার চেষ্টা করছি। এ জন্য এখনই কাউকে শাস্তি দেওয়ার বিষয় নেই। আজও অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ সার্বিক পরিস্থিতি জানার পর কারসাজির প্রমাণ পেলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।

মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্যে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ানো। আশা করছি এসব তদন্তের ফলে কারা পণ্যটি মজুদ করে রেখেছে তা বেরিয়ে আসবে।’ আর পেঁয়াজ আমদানির আড়ালে কেউ মুদ্রাপাচার করেছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে এসব আমদানিকারক কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তার তথ্য আমরা নিজস্ব উৎস থেকে সংগ্রহ করেছি। আমাদের তথ্যের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে।’

সংস্থার মহাপরিচালক বাজারে পেঁয়াজের দাম ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে জানিয়ে বলেন, দাম সহনীয় রেখে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদেরও কিছু দায় আছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া পণ্যের দাম কমনো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে এবং উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আসা অব্যাহত রয়েছে। তার পরও কেন দাম বাড়ছে, ঘাটতি আছে কি না—এটা দেখার জন্যই আমরা তাদের ডেকেছি।’

শুল্ক গোয়েন্দার তলবে সাড়া দিয়ে আসা শীর্ষ আমদানিকারক এম এস বিলাস এন্টারপ্রাইজের প্রপ্রাইটার আবদুল আওয়াল বলেন, ‘আমরা আগস্ট থেকে কী পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছি এবং পরে তা কার কাছে বিক্রি করেছি তার তথ্য-প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। এসব আমরা জমা দিয়েছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।’

এই ব্যবসায়ী পরে কালের কণ্ঠকে বলেন, যে সময়ে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেয় সে সময়ের তথ্য চাওয়া হয়েছে। অথচ তথ্য চাওয়া উচিত ছিল এর আগে কারা, কতটা আমদানি করেছে সেগুলো। তাহলে বাজারে কারা কারসাজি করেছে—তা বের হয়ে আসত।

সরকারের নানা আশ্বাস, ঘোষণা, উড়োজাহাজে পেঁয়াজ আমদানি ও বাজার সহনীয় করতে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরে কারসাজির অভিযোগে শীর্ষ পেঁয়াজ আমদানিকারকদের তলবের বিষয়ে ভোক্তা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও সাবেক সচিব গোলাম রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে এখন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে হবে। উড়োজাহাজে এনে, সরকারের নানা আশ্বাসে আর ধরপাকড়ে পেঁয়াজের দাম কমানোর সুযোগ কম বলেই মনে হয়। যেটা করতে হবে—সরবরাহ কিভাবে বাড়ানো যায় তা দেখতে হবে। যদিও এখন সে সুযোগ কম। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলে আর ভারত যদি রপ্তানি শুরু করে তখনই কেবল দাম সহনীয় হতে পারে। আর সরকার যে বলছে, জাহাজে করে বড় চালান আসছে, এটা এলে পরে বোঝা যাবে। না হলে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা সংকটের সুযোগে দাম বাড়িয়ে অতি মুনাফা করতেই থাকবেন।

এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ব্যবসায়ীরা নীতি-নৈতিকতার ধার ধারছেন না। পেঁয়াজের ঘাটতির সুযোগে তাঁরা কৌশলে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন। তিনি জানান, যতটা সংকটের কথা বলা হচ্ছে, এ রকম সংকট নেই বাজারে। এ ছাড়া কার্গো বিমানসহ বিভিন্নভাবে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এফবিসিসিআই ওই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

এদিকে গতকাল মিয়ানমার থেকে আরো এক হাজার ১০৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। কালের কণ্ঠ’র কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, মিয়ানমার থেকে নৌপথে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল ২১টি ট্রলারে এক হাজার ১০৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। রবিবার এসেছিল ৭৯০ টন পেঁয়াজ। টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন জানান, গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে এক হাজার ১০৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। ১২ জন ব্যবসায়ী এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। পেঁয়াজগুলো খালাস করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবর পাওয়া যায়। কালের কণ্ঠ’র রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, চার দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়ছে সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ না থাকায় নতুন ও পুরনো পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় পেঁয়াজের দাম যে হারে থাকা প্রয়োজন তা থেকে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে ক্রেতারা। ২৫ নভেম্বর পুরাতন রাজবাড়ীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পুরনো পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৪০, নতুন পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ২০০ ও ছাল পচা পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি জানান, পীরগাছায় দ্বিতীয় দিনের মতো গতকাল সকালে পুলিশ পাহারায় টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কম দামে পেঁয়াজ কিনতে ভিড় জমায় বিপুলসংখ্যক ক্রেতা। সকাল ১১টা থেকে উপজেলার ডাকবাংলা মাঠে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। দীর্ঘ লাইন ধরে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের। অনেককে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে পেঁয়াজ না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। প্রতিদিন এক টন করে পেঁয়াজ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা চাহিদার তুলনা অপ্রতুল বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।

নাটোর প্রতিনিধি জানান, নাটোরে টিসিবির উদ্যোগে দুই টন পেঁয়াজ বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে ৪৫ টাকা কেজি দরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মাথাপিছু এক কেজি করে পেঁয়াজ বিতরণের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শাহরিয়াজ। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ছাড়াও শহরের মাদরাসা মোড়ে পেঁয়াজ বিতরণ করা হয়। এ সময় তিনি জানান, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এদিকে পেঁয়াজের পাশাপাশি গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে চালের দামে কিছুটা ইতিবাচক চিত্র পাওয়া যায়। রাজধানীর শ্যামবাজারের পাইকারি আড়তদার দয়াময় ভাণ্ডারের সলিমুল্লাহ মিয়া জানান, বাজারে চালের দাম কমতির দিকে। সপ্তাহখানেক আগে চালকল মালিকরা বস্তায় ১০০ টাকা দাম বাড়ান। এখন তাও কমে গেছে। কেননা নতুন ধান আসছে। এ ছাড়া মাসের শেষ, ভোক্তার কাছে চাহিদাও কম। গতকাল পাইকারি বাজারে মোটা চাল বিআর ২৮ বিক্রি করেছেন ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। আট থেকে দশ দিন আগে ছিল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা। এ ছাড়া এখন মৌসুম, আগামী দু-এক দিনের মধ্যে নতুন চাল উঠবে। ফলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।

গতকাল শান্তিনগর বাজারের নিউ ভাই ভাই স্টোরের ইমরান বলেন, ‘গত আট থেকে ১০ দিন ধরে চালের বাজার স্থিতিশীল আছে। আমরা প্রতি কেজি মিনিকেট খুচরা বিক্রি করছি ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা। আর বিআর আটাশ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা।’

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ