২৪শে মে, ২০২৫ ইং, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী বললেন উন্নত দেশ গড়তে ২০ বছরের দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১-এর ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখার সময় এ কথা বলেন। সরকার গঠনের পর দেশের দ্রুত উন্নয়ন সাধনে তাঁর সরকার বেশ কিছু তাত্ক্ষণিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ নাগাদ দক্ষিণ এশিয়ার একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করছি এবং ইতিমধ্যেই আমরা ২০২০ থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পঞ্চম এবং ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পাশাপাশি দেশে প্রথমবারের মতো ২০২০-২০২১ সাল পর্যন্ত আমরা দীর্ঘমেয়াদি প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং আগামীতে উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে আরো এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাকে বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার ‘একটি স্বপ্নের দলিল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ২০ বছরমেয়াদি দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১ সাল থেকে শুরু করে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।
সিনিয়র সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, পরিবেশ বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং ড. মশিউর রহমান, মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তিনটি অগ্নিনিরোধক ফায়ার কুশন ফায়ার সার্ভিসের কাছে হস্তান্তর : এদিকে অগ্নিদুর্ঘটনার সময় উদ্ধারকাজে ব্যবহারের জন্য জার্মানির তৈরি অত্যাধুনিক তিনটি অগ্নিনিরোধক জাম্বু কুশন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর কার্যালয়ে গতকাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেনের হাতে এগুলো তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, অগ্নিদুর্ঘটনায় উদ্ধার অভিযানকালে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন।
এই অগ্নিনিরোধক কুশনগুলো ফাইবার গ্লাস দ্বারা তৈরি এবং এক মিনিটে এগুলো ব্যবহার উপযোগী করা যায়। প্রতিটি কুশনের মূল্য পড়েছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটির ওজন ৮০ কেজি। এটি ক্রয়ে অর্থায়ন করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ