১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

১০ম কংগ্রেসে ২য় বারের মতো ফজলে হোসেন বাদশা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

দুনিয়ার মজদুর একহও
জামি রহমান , নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, এলাকার উন্নয়ন চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মানুষে মানুষে বিভেদ থাকলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট স্টেশন মোড়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় এ অনুষ্ঠানে ফজলে হোসেন বাদশাকেই সংবর্ধনা দেয়া হয়। ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরীর দুই নম্বর ওয়ার্ড কমিটি এর আয়োজন করে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, এই এলাকাতেই আমার জন্ম। এখানেই বেড়ে উঠেছি। এখনও বসবাস করছি। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এ এলাকার অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এখন বাইরে থেকে কেউ এলে এই এলাকা চিনতে পারে না। আরও উন্নয়ন চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।তিনি বলেন, জানালা খুললেই দেখতে পাই, ভবনগুলো ওপরের দিকে উঠছে। কিন্তু শুধু ভবনের উন্নয়ন করলেই হবে না। মানুষে মানুষের সম্পর্কেরও উন্নয়ন করতে হবে। সবাই মিলেই এলাকার উন্নয়ন করতে হবে। যতদিন বেঁচে আছি, আমি এ এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাব।
বাদশা বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে এই এলাকাকেও সামিল করেছি। এখানে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক গড়ে উঠছে। সেখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু চাকরি পেতে হলে শিক্ষাও থাকতে হবে। তাই এলাকার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছি।শহরের পশ্চিমাঞ্চলকে ঘিরে আরও অনেক স্বপ্ন রয়েছে জানিয়ে রাজশাহী সদরের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমার কিছু স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এলাকাকে নিয়ে আরও স্বপ্ন আছে। কোর্ট স্টেশনে এখন শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জের কমিউটার ট্রেন থামে। কিন্তু এক সময় এখান থেকেই বিভিন্ন রুটের আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমি সংসদে কথা বলার পর যমুনা সেতুর ওপর আলাদা রেলসেতু হচ্ছে। সেটা হয়ে গেলে রাজশাহীর সঙ্গে রেলযোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। তখন সব ট্রেনকে রাজশাহী স্টেশনে জায়গা দেয়া সম্ভব হবে না। তখন কোর্ট স্টেশন থেকেই ট্রেন ছাড়তে হবে। আবার যাত্রীরা ইচ্ছে করলে এখানে এসেই নামবেন।
বাদশা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি বন্ধ হলে উন্নয়ন আরও ত্বরানিত হতো। সংসদেই শুনেছি, ৯ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অভিযান হবে। আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা অভিযান দেখতে চাই। রাজশাহীতেও যারা দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ দেখতে চাই। আমরা কোনো দুর্বৃত্তকে এলাকায় প্রশ্রয় দেব না।অনুষ্ঠানে দুই নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে সংবর্ধনা জানানো হয়। বালাজান নেতা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্যা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কোর্ট মডেল স্কুল, মডেল টেকনিক্যাল বিএম কলেজ ও মুকুল নিকেতন প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষকরাও তাকে সংবর্ধনা জানান। এছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ফজলে হোসেন বাদশার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাকে সংবর্ধিত করেন।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু এবং আরেক কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু।আরও উপস্থিত ছিলেন পার্টির মহানগর সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আবু সাঈদ, নাজমুল করিম অপু, আবদুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ইসহাক মণ্ডল, নগর যুবমৈত্রীর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বকুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুই নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস টেবলু। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী লালু।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ