সর্বশেষ সংবাদ
প্রকাশিত : মাহবুব আলম জুয়েল (সম্পাদক) ।
মিজানুর রহমান: মাত্র ৫ লাখ টাকার হলেই বেঁচে যাবে পাঁচ বছরের শিশু আল মাহমুদ মুনে প্রাণ। হার্টে ছিদ্র নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার এই শিশুটি।
সাধ্যমত চিকিৎসা করেও একমাত্র ছেলেকে সুস্থ্য করে তুলতে পারেননি মুনের হতদরিদ্র কৃষক বাবা আফজাল হোসেন। তিনি উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বাদেজোল গ্রামের বাসিন্দা। ছেলেন চিকিৎসায় সমাজের বৃত্তবানদের চেয়েছেন অসহায় এই বাবা।
শিশু আল মাহমুদ মুন সবেমাত্র স্কুলে যাওয়া আসা করছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য মাসের বেশিরভাগ দিন স্কুলে যেতে পারে না সে। বুকের ব্যাথায় ছটফট করে বিছানায় পড়ে থাকে। আর্থিক সংগতি না থানায় ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি তারা।
বৃহস্পতিবার সাহায্যের আশায় মুনকে নিয়ে রাজশাহীর তানোর পৌরশহরের গোল্লাপাড়া বাজারে গিয়েছিলেন তার মামা শহিদুল ইসলাম রাজু। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে।
রাজু জানান, অনেক স্থানে ও বিভিন্ন অফিসে ঘুরেও সাহায্যের সাড়া মেলেনি। তবে ভাগ্নের জীবন রক্ষায় তিনি অন্য কোথাও চেষ্টা চালাবেন। চোখের সামনে এতোটুকু ছেলের এতো কষ্ট যে সহ্য হয় না তার।
মুনের মামা আরো জানান, তিন বছর বয়সে প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয় মুনের। এরপর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মুনের হার্টে ছিদ্র আছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
পরে তাকে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করান। কিন্তু ওই সব হাসপাতালের চিকিৎসকগণ ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন। চিকিৎসকরা জানান ভারতে চিকিৎসা করাতে প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হবে।
গত আগস্ট মাসে ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে এক হাসপাতালে মুনের চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসকরা কয়েক সপ্তাহ পর আবারও মুনকে ভারত নিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু শিশু মুনের দরিদ্র পিতা-মাতার পক্ষে এখন আর ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
শহিদুল ইসলাম রাজু বলেন, ‘তাদের কয়েক শতক জমি ছিল। কয়েকটা গরু-ছাগলও ছিল। সব বিক্রি করে মুনের বাবা ছেলের চিকিৎসার খরচ মেটান। এখন কিছুই নেই। একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছি। মুনের বাবা এখন অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ করেন। কোনো পথ, কোনো উপায় খুঁজে পাই না। কি করে ছেলের চিকিৎসা হবে।’
মুনের মা মনিরা বেগম জানান, দুই বছর আগে হঠাৎ আবার অসুস্থ্য হয়ে পড়ে ছেলেটি। এরপর পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে রাজশাহী ও ঢাকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুনকে যত দ্রুত সম্ভব আবার ভারতে নিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে হবে।
এতে খরচ পড়বে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। অস্ত্রোপচার না হওয়ায় ছেলেটা এখন প্রায় রাতেই ব্যাথায় কুঁকড়ে যায়। অনেক সময় কান্না করে ঘুমের ঘোরে।
শিশু আল মাহমুদ মুনের জীবন রক্ষায় সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা চেয়েছেন তার অসহায় বাবা আফজাল হোসেন ও গৃহিণী মা মনিরা বেগম।
হয়তো সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে অবুঝ এই শিশুটি। আর ওই শিশুর হাসিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বাবা-মার ঘর। শিশুটিকে সহায়তা করতে চাইলে আপনার আর্থিক সাহায্য পাঠাতে পারেন নিচের ঠিকানায়।
মো. আফজাল হোসেন, সঞ্চয়ী হিসাব নং: ২০৫০০০৮০২০০৭০৯০১২-৭০৯০ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, কেশরহাট শাখা, মোহনপুর, রাজশাহী অথবা ০১৭২২-৯১৫১১৩ নম্বরে বিকাশ করেও শিশুটিকে সহায়তা করা যাবে।
এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদপ্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।