১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

ঘর গোছানোর মিশনে আওয়ামী লীগ! মাদারল্যান্ড নিউজ

নিজেস্ব প্রতিবেদক, (এস. আর. টুটুল) :
এশিয়া উপ-মহাদেশের অন্যতম রাজনৈতীক সংগঠন আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বক্রিয় ও যুগপোযগী করে তুলার মিশনে নামছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলকে সামনে রেখে প্রস্তূতির অংশ হিসেবে এ মিশন। এ জন্য আট বিভাগে আট টি টিম সারা দেশের সব জেলা. উপজেলা ও ইউনিয় পরির্দশন করবে। ঐ টিমের লক্ষ্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন করে. পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। এবং তৃণমূলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করা।
একই সাথে বিএনপি- জামায়াতসহ অন্যান্য দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। দলীয় সুত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত, ইতিমধ্যেই মহানগর. জেলা ও উপজেলা সর্বশেষ কবে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার দিন- তারিখ দলের সাংগঠনিক সম্পাদকরা নির্দিষ্ট করে নতুন সম্মেলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আট বিভাগে আট টি সাংগঠনিক টিম তাদের পরিকল্পনা মাফিক কাজ গুছিয়ে নিচ্ছে। এলক্ষে গত রমজান মাসে কুষ্টিয়া. খুলনা. মাগুরা. চুয়াডাঙ্গা. ঝিনাইদহ.সিলেট. কক্সবাজার. চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর, রাঙ্গামাটি. নোয়াখালীতে বর্ধিত সভাকরে কেন্দ্রের নির্দেশনা জনানো হয়েছেদলীয় সুত্রে প্রকাশ. যেসব জেলা ও উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয়নি. নেতাকর্মীদের কোন্দল বিরাজমান. সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই. সেসব জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেসব জেলা ও উপজেলা কমিটিতে বিএনপি- জামায়াত বা অন্য দল থেকে অনুপ্রবেশ হয়েছে. বিতর্কিত কাজের কারণে সমালোচিত তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শুদ্ধি অভিযানে এসব বিতর্কিতদেরকে বাদ দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এমনকি দলে যোগ্য ও অযোগ্য নেতাদের তালিকাও করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য (পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য) বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তৃণমূলকে ঢেলে সাজাতে দলীয় (সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আট বিভাগে আটটি টিম গঠন করে দিয়েছেন। তৃণমুলের সম্মেলনের মাধ্যমে  দলের নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির পাশাপাশি (অনুপ্রেবেশকারী) থাকলে তাদের দল থেকে বাদ দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, গত এপ্রিল মাসে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের পরবর্তী বৈঠকে মেয়াদেত্তীর্ণ সাংগঠনিক জেলাগুলোর কাউন্সিল শেষ করার তাগিদসহ. সার্বিক প্রস্তূতির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন শেখআওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী. বঙ্গবন্ধুকন্যা, শেখ হাসিনা।
ওই নির্দেশনার পর প্রাথমিকভাবে ৭৭টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে যেসব জেলা ও উপজেলার কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে. সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এর অংশ হিসেবে গত ১১ মে খুলনা বিভাগ থেকে জেলায়- জেলায় বর্ধিত সভা শুরু হয়। এ বিভাগের ৫টি. নীলফামারী ও রংপুর জেলার ৫টি উপজেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
দলীয় সুত্র জানায়, আগামী অক্টোবরেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। নিতীমালা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে জেলা- উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলন শেষ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জুন. জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসব্যাপী চলা তৃণমূলের সম্মেলনের পাশাপাশি কেন্দ্রিয় সম্মেলনের সব ধরনের প্রস্তূতি শেষ করা হবে।
আগস্ট মাসজুড়ে জাতীয় শোক উদ্বযাপন কর্মসুচি থাকায় ঐ মাসে কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে না।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী (এনামূল হক শামীম) বলেন, তূণমূল আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন. দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ