১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

সৌদি আরবে নির্যাতিত সেই গৃহকর্মী হুসনা উদ্ধার

মাদারল্রান্ড নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার সেই গৃহকর্মী হুসনাকে আক্তারকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের নাজরান এলাকায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
সোমরার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নজরে আসে।
হুসনাকে উদ্ধারে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশকে দূতাবাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পরে হুসনা আক্তারকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের দাবি অনুযায়ী তাকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেদ্দা দূতাবাস।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের হুসনা আক্তার আর্থিক সচ্ছলতার জন্য গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে ১৮ দিন আগে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রথমে স্বামী শফিউল্লাকে ভিডিও বার্তা পাঠান।
হুসনার স্বামী ওই এজেন্সিতে গিয়ে এসব কথা জানালে এজেন্সির সংশ্লিষ্টরা তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুসনা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
পরে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শফিউল্লা কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ওই ভিডিও তার এক ভাইয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করান।
নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে হুসনা আক্তারের ওই ভিডিওবার্তা গত ২২ নভেম্বর ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
এবার সৌদিতে নির্যাতিত গৃহকর্মী হুসনার ভিডিওবার্তা, ‘আর পারছি না, আমারে বাঁচাও’
ভিডিওবার্তায় হুসনা আক্তার বলেন, ‘আমি মোছা. হুসনা আক্তার। আমার দালালে ভালা কথা কইয়া-কামের কথা কইয়া আমারে পাঠাইছে সৌদি। নিজরাল (নাজরান) এলাকায় আমি কাজ করি। আমি আইসা দেখি ভালা না। আমার সাথে ভালা ব্যবহার করে না ওরা। ওরা আমার উপর অত্যাচার করে।
আমি বাক্কা দিন (১০/১২ দিন) হইছে আছি। এখন এরার অত্যাচার আমি সহ্য করতে পারি না দেইক্কা কইছি আমি যাইমু গা। এই কথা বলায় ওরা আরও বেশি অত্যাচার করে। আমি এজেন্সির অফিসে ফোন দিছি। অফিসের এরা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আর পারতাছি না। তোমরা যেভাবে পারো আমারে তোমরা বাঁচাও। এরা আমারে বাংলাদেশ পাঠাইতো চায় না। এরা আমারে ইতা করতাছে। অনেক অত্যাচার করতাছে। আমারে ভালা কামের (কাজের) কথা কইয়া পাঠাইছে দালালে। আমারে ইতা করতাছে ওরা। আমি আর পারতাছি না সহ্য করতাম। তোমরা যেভাবে পারো আমারে নেও।’
এর আগে সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার হয়ে ফেসবুকে জীবন বাঁচানোর আকুতি জানিয়ে ভিডিওবার্তা পাঠিয়েছিলেন পঞ্চগড়ের গৃহবধূ সুমি আক্তার।
তার ওই আকুতির ভিডিও ভাইরাল হলে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে চলতি মাসের ১৫ তারিখ সকালে তিনি বাংলাদেশে ফেরেন।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ