১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

শ্রমিক নেতার ছেলে রেল কর্মচারী মামুন আটক

জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলে চাকুরী দেওয়ার নামে ১৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় শ্রমীকলীগ নেতার ছেলে মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে আটক করে চন্দ্রিমা থানার এসআই রাজু ও সঙ্গীয় ফোর্স। মামুন রেলওয়ে হাসপাতালে চৌকিদার পদে কর্মরত।
এছাড়াও মামুন রেলওয়ে শ্রমিকলীগ’র ওপেনলাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রেলওয়ের অতিঃ এফএনসিও’র ড্রাইভার রবিন্দ্রনাথ ঘোষ বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং -০৭। তাং-০৯-১২-২০১৯।
আসামিরা হলেন, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ’র ওপেনলাইন শাখার সভাপতি জহুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী, ছেলে মামুন ও রাব্বি।
অভিযোগ ও ভুক্তভেবাগীর বরাত দিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে রেলওয়ে কোয়াটারের বাসিন্দা, রেলওয়ের অতিঃ এফএনসিও’র ড্রাইভার রবি ঘোষের নিকট তার ভাতিজা রাজিব কুমার ঘোষ, তার ভাই রনি ঘোষ ও রেলওয়ের সিএসটি’র বড় বাবু আকবরের ছেলে মিজানুর রহমানকে এমএলএসএস ও পোর্টার পদে তাদের তিন জনকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন জহুরলের ছেলে প্রতারক মামুন। প্রতারক মামুন বর্তমানে রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের চৌকিদার পদে কর্মরত আছেন।
অভিযোগ উঠেছে, ওপেন লাইন শাখার সভাপতি ট্রলিম্যান জহুরুল ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ও রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, জহুরুল ইসলাম পুর্বে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন রেলওয়ে ইউনিয়নের সাথে জড়িত ছিলেন।
পরে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দল পরিবর্তন করেন। এবং লবিং এর মাধ্যমে রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখা শ্রমিকলীগ’র সভাপতির পদ বাগিয়ে নেন। এর পর থেকে শুরু তার নিয়োগ বানিজ্য, সেই সাথে প্রভাব খাটিয়ে ৪ ছেলেকে রেলওয়েতে চাকুরী নিয়ে দেন তিনি।
চাকুরী পাওয়ার পর একজন নেতার ছেলে ও রেল কর্মচারী পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারনায় লিপ্ত হন সুমন, মামুন ও রাব্বি নামের তিন ভাই। শুধু তাই নয় তারা টিকিট কালোবাজারির সাথেও জড়িত বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের একাধিক কর্মচারীরা।
পাশাপাশি মামুন রেলওয়ে হাসপাতালে চৌকিদার পদে চাকুরী নিয়ে শুরু করেন মাদকের কারবার, রাত হলেই হাসপাতালে মাদকসেবীদের নিয়ে আড্ডা আর ইয়াবা সেবন করা তার নিত্যদিনের কাজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক স্টাফ বলেন, এর প্রতিবাদ করলে তারা চার ভাই মিলে মারধর শুরু করে। এ ভয়ে অনেকে মুখ খুলতে ভয় পায় তাদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে জহুরুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনিসহ চার ছেলের চাকুরী কথা শিকার করেন এবং অন্যান্যদের চাকুরী দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজু জানায়, মামুন চাকুরী নিয়ে দেয়ার নামে রবি ঘোষের নিকট টাকা নেওয়ার কথা শিকার করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারনা অভিযোগে মামলায় আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে অভিযুক্ত মামুনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান এসআই।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ