রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সম্মেলন : জিএস প্রার্থী পিন্টুর ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবন

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সম্মেলন : জিএস প্রার্থী পিন্টুর ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর আ’লীগের বর্তমান কমিটির সদস্য আহসানুল হক পিন্টু আসন্ন মহানগর আ’লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য মনস্থির করেছেন। এবার সম্মেলনে আ’লীগ নেতা পিন্টুর সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানা যায়। আ’লীগ নেতা আহসানুল হক পিন্টু ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্যে দিয়ে আ’লীগের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পেশাগতভাবে তিনি ব্যবসায়ী হলেও রাজশাহীতে আ’লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। কর্মীবান্ধব, সাদামাটা ও সহজ-সরল জীবনের অধিকারী এই মানুষটি ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনে হেরে গেলেও রাজনীতি থেকে সরে যাননি। রাজপথে লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারিতেই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করতে প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এবার সম্মেলনে আহসানুল হক পিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চায় নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে বেশ পরিচিত। তিনি নি:স্বার্থভাবে দলের জন্য রাজপথে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে রাজনীতি করে যাচ্ছেন।

আ’লীগ নেতা পিন্টুর পারিবারিক, শিক্ষা ও রাজনৈতিক জীবন……….

রাজশাহী মহানগরীর টিকাপাড়া আহম্মদপুর এলাকায় মৃত এনামুল হক ও নুরজাহান হক এর সংসার জীবনে ১৯৬৯ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ১৯৯১-১৯৯৪ সালে শিক্ষাজীবনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদস্য এবং ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে রাবির সমাজসেবা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

আহসানুল হক পিন্টু ১৯৯৭-২০০২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সদস্য হিসেবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন।

২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। এরপর ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আ’লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া তিনি ১৯৮৮-১৯৯০ স্বৈরাচার সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দিক নির্দেশনায় সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কেের তা সফল ভাবে সম্পন্ন করেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর দিক নির্দেশনায় ১৯৯১-১৯৯৬ সালে রাজপথে থেকে খালেদা বিরোধী আন্দোলনে অংগ্রহণ করেন।

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে ১৯৯৩ সালে বি.এ. (অনার্স) এবং ১৯৯৪ সালে এম.এ. (ইতিহাস বিভাগ) পাস করেন। এছাড়াও তিনি ২০০৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এল.এল.বি পাস করেন।

রাজশাহীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গণে আ’লীগ নেতা পিন্টুর ভূমিকা…….

আ’লীগ নেতা আহসানুল হক পিন্টু ২০০৮, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজশাহী রামচন্দ্রপুর অনির্বান সংঘ, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ-সম্পাদকও ছিলেন। রাজশাহী মহানগর ইউনিট রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, রাজশাহী শিক্ষা বোড টেন্ডার কমিটি ও ঢাকাস্থ রাজশাহী জেলা কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়া তিনি ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর তৎকালীন ত্বত্তাবধায়ক সরকার কর্তৃক বিভিন্ন মামলার শিকার হন এবং ওইদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজশাহী শহরে সাধারণ মানুষের গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এর হাতে স্বাক্ষর সম্মিলিত স্মারক প্রদান করেন। সেসময় তিনি রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলনে পৃষ্টপোষকতা করেন। ২০০১-২০০৬ সালের সরকারের সময় তাকে জামাত-বিএনপি সরকার কর্তৃক বিভিন্ন মামলা, হামলা ও হয়রানির শিকার হতে হয়। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে পরাজয়ের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর উপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে এবং তার নির্দেশনা মেনে এখন পর্যন্ত সকল ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে চলেছেন।

এবিষয়ে রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সদস্য আহসানুল হক পিন্টু বলেন, বেশ কিছুদিন পর রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রাজশাহী মহানগর আ’লীগের রাজনীতিতে আমার অবদান সম্পর্কে আ’লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাই ও আ’লীগের হাই কর্মণ্ডের নেতৃবৃন্দ জানে।

তিনি আরো বলেন, এবার সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাবো বলে মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে শতভাগ আশাকরি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ভাই ও হাই কমাণ্ডের সিনিয়র নেতারা আমার রাজনৈতিক জীবনসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে দায়িত্ব দিবেন সেটা আমি সততার সঙ্গে পালন করবো ইনশাল্লাহ।