১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

ফসলি জমিতে ইটভাটা, নজর নেই প্রশাসনের – পরিবশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নেই ।। মাদারল্যান্ড নিউজ

স্টাফ রিপোর্টার: পরিবশে ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে পাঁচটি ইটভাটা। এসব ইটভাটার প্রতিটিই নির্মাণ করা হয়েছে ঘনবসতি এলাকা এবং ফসলি জমিতে। ইটভাটাগুলোর চিমনীর উচ্চতা কম হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তবে এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নে শাহাপুর গ্রামে হাকিম ব্রিকস, এএসবি ব্রিকস, এআরবি ব্রিকস, এইচকেবি ব্রিকস ও এইসবিবি ব্রিকস নামের এসব ইটভাটা যত্রতত্রভাবে ফসলি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে। অথচ ১৯৯২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও ২০০১ সালের (সংশোধিত) ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী আবাদি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটা চালানো হচ্ছে।
এ পাঁচ ইটভাটারই চিমনির উচ্চতা কম হওয়ায় ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শ্বাস কষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। শুধু মানুষই ক্ষতিই হচ্ছে না, পাশাপাশি ভাটার আশপাশের জমিগুলোতেও মারাত্মক ফসলহানি হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলা এসব ইটভাটার স্বত্বাধীকারিরা অনুমোদেনের কোন কাগজ দেখাতে পারেননি।
মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে অনুমোদনহীন চারটি ইটভাটা চলছে। এসব ইটভাটার মাটি, ইট, কয়লা বহনকারী ওভারলোডেড ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীণ সড়কের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
এএসবি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এইচবিবি ব্রিকসের ম্যানেজার আফজাল বলেন, অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালানো হচ্ছে। গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ইটভাটা দেখার বিষয়টি থানার নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, অনুমোদহীন ইটভাটা চালানোর কোন সুযোগ নেই। এসব ইটভাটাবন্ধে অভিযান চলছে।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ