১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

পিয়াজের কারণে চালকল মালিকরা সাহস পেয়েছে: ক্যাব

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক: পিয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় চালকল মালিকরা দাম সাহস পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। এছাড়া ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা না পাওয়ার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারেনি সরকার।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্যাব কর্তৃক আয়োজিত ‘ভোক্তা স্বার্থরক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক ডিভিশন অথবা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজ দিয়ে সেটা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পিয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামের বিষয়ে সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও কোনভাবেই মূল্য নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এর সঙ্গে গত এক মাস ধরে চালের মূল্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
ক্যাব সভাপতি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে পিয়াজ দিয়ে শুরু হবার পর একে একে চাল, ডাল, ময়দা, আটা, সয়াবিন তেল, ডিমসহ নানা পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীতকালীন সবজির দাম এখনো সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে লবণের দাম হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে, তবে স্বস্তির কথা এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। তবে এসব ক্ষেত্রে সরকারের আরও সচেতন ও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
ক্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, পিয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সে বিষয়গুলোতে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করেনি বরং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পিয়াজের দাম ভোক্তার নাগালের বাইরে নিয়ে যায়।

গোলাম রহমান বলেন, আমরা এখনো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর আস্থা হারাইনি, তবে তারা কাজটা ঠিকভাবে করতে পারছে না। যে কারণে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ে পৃথক বিভাগ বা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি বড় শিল্পগ্রুপকে বিদেশ থেকে পিয়াজ আমদানির অনুরোধ করা হলেও তাদের অভিজ্ঞতা না থাকায় আমদানি দেরি হয়েছে। এই সংকটকে পুজি করে অতি মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, আমদানিকারক, আড়তদার, মজুদদার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধি করে এবং ভোক্তার পকেট থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
ক্যাব জানায়, মালবাহি বিমানে সরাসরি পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি, মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। যদি অক্টোবরে সরকার দেশের ভেতর থেকে পিয়াজ না কিনে বাইরে থেকে আমদানি করে সরবরাহ বৃদ্ধি করতো তাহলে পরিস্থিতির এতটা অবনতি হতো না।
দেশে প্রতি বছর ২৪ লাখ টন পিয়াজের চাহিদার যে হিসেব প্রদান করছে, সেটা কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গোলাম রহমান। এ সময় পিয়াজ ছাড়াও চাল, তেল, আটা, ময়দা, সবজির দাম বৃদ্ধি নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে চাপে ফেলে বলে বলে জানান তিনি।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ