১৯শে মে, ২০২৫ ইং, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন জানুয়ারিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আইনি জটিলতা দেখা না দিলে চলতি মাসেই তফসিল ঘোষণা করে জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভোটগ্রহণের চিন্তা করছে ইসি।
সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করে মাদারল্যান্ড নিউজকে বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের বিষয়ে এখনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। তবে জানুয়ারির শেষ দিকে নির্বাচন হতে পারে। কমিশন বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
দুই সিটিতে নবযুক্ত ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা জানুয়ারিতে নির্বাচন না করার জন্য ইসিতে আবেদন করেন। আবেদন বিবেচনা না করলে তারা আদালতে যাওয়ার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, তাদের আবেদন কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছিল। কমিশন বলেছে, পরিষদ ভেঙে গেলে নির্বাচিতদের মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা নেই।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণ করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকার দুই সিটির ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০১৫ সালের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ওই বছরের ১৭ মে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসাবে ঢাকার উত্তর সিটিতে ১৩ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৬ মে মেয়াদ শেষ হয়। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। ১৮ নভেম্বর নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে। স্থানীয় সরকার থেকে চিঠি পাওয়ার পর ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে কমিশন। জানুয়ারির ২৩, ২৬ কিংবা ৩০ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।
ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, দুই সিটির ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ভোটার তালিকাও। সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুই সিটিতে প্রায় আড়াই হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ রয়েছে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার। এ জন্য ৩০ হাজারের মতো ইভিএম প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দুই সিটির জন্য প্রায় অর্ধ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রাথমিক তালিকা করা শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের প্রাথমিক প্যানেল তৈরির জন্য ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়েছে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা।

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ