সর্বশেষ সংবাদ
জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি: শীতকাল মানেই খেজুরের রসের আগমণ। তবে পুরোপুরি ভাবে শীত এখনো জেঁকে আসেনি। শীতকে কেন্দ্র করে নগরীতে শুরু হয়েছে খেজুরের রস বিক্রি। সকাল বেলায় শীতকাল এলেই নগরীতে শুরু হয় খেজুরের রস খাওয়ার উৎসব। সেখানে কাঁচা খেজুরের রসই সবাই পান করে থাকে। কেউ কেউ শহর থেকে ছুটে যান গ্রামে এই কাঁচা রস খাওয়ার জন্য। তবে এই শীতে সকালে লেপের ওমটুকু ছেড়ে খেজুরের রস বিক্রেতারা বের হয় কুয়াশা মোড়া রাস্তায়। তাদের অনেকের দেখা মিলে রাজশাহীর সাহেববাজাররে রস বিক্রি করতে।
রস বিক্রেতা বসির মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আলতো হাসিতে উত্তর দেন, খেজুরের রস এখন আর আগের মত বিক্রি হয়না। আবার যে সকল জায়গা থেকে আনা হত সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য সে গাছগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে।
সব বয়সী মানুষ খেজুরের রস পছন্দ করে। শীতের সকালকে আরও বেশী আনন্দমুখোর করে তোলে। তবে শীতে কাঁচা খেজুরের রস থেকে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতখানি তা না জেনে পান করছে নগরবাসী। নিপা মরণব্যাধি, তাই সতর্কতা ও সচেতনতাই এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।
নিপা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে খেজুরের রস হালকা ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। নিপা আক্রান্তের সংখ্যা খুব একটা বেশি না হলেও এতে মৃতের হার বেশি। নিপা একটি ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। ফলাহারি বাদুড় এই ভাইরাসের প্রধান বাহক। তবে ফলাহারি বাদুড় নিজে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় না।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোপেন আচার্য্য বলেন, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মূল উৎস খেজুরের রস। খেজুরের রস গাছে হাঁড়িতে সংরক্ষণের সময় বাদুড় ওই রস পান করার সময় রসের মধ্যে তার লালা বা প্রসাব থেকে এ ভাইরাস সংক্রামিত হয়। ওই রস পান করলে মানুষ নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
বাদুড়ে খাওয়া থেকে খেজুরের রসকে রক্ষা করা গেলে নিপা হবে না। বাদুড়ে খাওয়া ফল থেকেও নিপা আক্রান্ত হতে পারে। অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি বা সংস্পর্শ এলেও এ রোগ ছড়ায়। রোগীর গামছা, বিছানা বা কাপড় অন্য কেউ ব্যবহার করলে, তারও নিপা হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এ সময়ে খেজুরের রস বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য কাঁচা খেজুর রসের পরিবর্তে জাল দিয়ে রস খাওয়াটাকেই উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, এজন্য কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া এবং কারো কাছে কাঁচা খেজুরের রস বিক্রি করা উচিত নয়। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। নিপা ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা নেই।
প্রকাশক ও সম্পাদক: মাহবুব আলম জুয়েল
(প্রতিনিধি, এশিয়ান টেলিভিশন)
সহ- প্রকাশক: এমদাদুল হক মন্ডল
সহ- সম্পাদক: আশরাফুল ইসলাম রনজু
নির্বাহী সম্পাদক: সাহিন সরকার রনজু
সহ বার্তা সম্পাদক: হাফিজুর রহমান কিয়াস
উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যবৃন্দ :
(১) অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম (২) প্রভাষক রাকিবুল সরকার পাপুল (৩) প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (৪) ডাক্তার মিজানুর রহমান (৫) সহকারি শিক্ষক আব্দুল বারী
আইন উপদেষ্টা: এ্যাডভোকেট রায়হান কবির (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালত)
-: যোগাযোগ :-
তানোর অফিস: রাফি কম্পিউটার্স, সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে, মুন্ডুমালা রোড, তানোর, রাজশাহী।
রাজশাহী অফিস: মা কম্পিউটার, লোকনাথ স্কুল মার্কেট, হেতেমখাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
ফোন: ০১৭১১-২৭০৪৩৩, ০১৫১৭-০৬৩১১৭
Email: mnewsbd24.2018@gmail.com
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া সকল ধরনের সংবাদ সারা বিশ্বে প্রচারে আমাদের তথ্য দিন।
আপনার প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে পরিচিত করতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।