১৫ই জুন, ২০২৫ ইং, ১লা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই জিলহজ্জ, ১৪৪৬ হিজরী

বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি ও একটি দুর্লভ চিঠি . মাদারল্যান্ড নিউজ

মাদারল্যান্ড নিউজ ডেস্ক : ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ। তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। ১৯৭১ সালের ঘটনাবহুল ডিসেম্বরের প্রতিটি দিনই বাঙালির জন্যে যেমন একই দিকে স্বজন হারানোর বেদনার, তেমনি বিজয়ের অপেক্ষার।
০৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দিনটি তারমধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ, এ দিন বেলা ১১টায় ‘অল ইন্ডিয়া রেডিও’ মারফত ঘোষণা করা হয়, ভারত বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। তখনকার ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ভারতের পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘বাংলাদেশের সব মানুষের ঐক্যবদ্ধ বিদ্রোহ এবং সেই সংগ্রামের সাফল্য এটা ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট করে তুলেছে যে, তথাকথিত মাতৃরাষ্ট্র পাকিস্তান বাংলাদেশের মানুষকে স্বীয় নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনতে সম্পূর্ণ অসমর্থ।’
লোকসভায় দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিশাল বাধার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার পর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ একই দিনে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে যশোর সেনানিবাস ত্যাগ করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। যার ফলে শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশের একটি বড় অঞ্চল।
ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নিকট স্বীকৃতি পত্র প্রেরণ করেন।
পাঠকদের সুবিধার্থে হুবুহু মূল চিঠিটি দেয়া হলোঃ

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ